Laxmi Bhandar Update 2024 – একুশে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় ঘোষণা করেছেন। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা জুড়ে সবুজ ঝড়। তাই এবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে শহীদ স্মরণের পাশাপাশি বিজয়ী উদযাপন করা হয়। বলাই বাহুল্য, তৃণমূলের এই জয়ের নেপথ্যে রয়েছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের বড় অবদান।
২০২১ সালের বাংলা তৃণমূলের উত্থানের পেছনে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প যে রয়েছে, তা এক কথায় স্বীকার করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবার একুশে জুলাই এর মধ্যে থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকল্পে রাজ্যের মহিলারা প্রতিমাসে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা করে ভাতা পান। এস টি এস টি মহিলারা পান ১২০০ টাকা করে। কোন দিকে ওবিসি এবং জেনারেল কাস্ট হলে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
Laxmi Bhandar Update 2024
তবে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন জমা করেও, টাকা না পাওয়ার মহিলার সংখ্যাও নেহাত কম নয় রাজ্যজুড়ে। বিডিও অফিসে কিংবা পঞ্চায়েতে গিয়ে কখনো কখনো আবার দুয়ারের সরকারের ক্যাম্পে গিয়েও আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন কিস্তির টাকা এখনো তাদের ব্যাংক একাউন্টে জমা পড়েনি বলে শোনা যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যে এবার বড় ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষীর ভান্ডারের আওতায় যে সকল মহিলারা রয়েছেন তারা সকলেই টাকা পাবেন।
লক্ষীর ভান্ডারের আবেদন নিয়ে শীঘ্রই কাজ শুরু হতে চলেছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পুজোর পরেই দিয়ে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এ কথা নিজেই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিসেম্বর থেকে বাড়ি, বিধবা ভাতা টাকাও দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
রাজ্যের কাছে যে লিস্ট রয়েছে সেই লিস্ট অনুযায়ী বাড়ির টাকা দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী ২ কোটি ৪০ হাজার মহিলাকে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা দেওয়ার পাশাপাশি ৪৩ লক্ষ বাড়ি এই ১২ বছরে করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ১১ লক্ষ লোকের বাড়ির জন্য টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেওয়ার কথা থাকলেও, তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মমতা। বাড়ি তৈরির টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম কিস্তিতে দেওয়া হবে বাংলার মানুষকে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ইশতেহারে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে এই প্রকল্প রাজ্যের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হিসেবে পরিচিত।